অধ্যাপক ডা. মো. খলিলুর রহমান
অধ্যাপক ডা. মো. খলিলুর রহমান ১৯৪৯ সালের ১৯ নভেম্বর মুন্সিগঞ্জের শ্রীনগর থানার গদিঘাট গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন।
তিনি ১৯৬৪ সালে এস.এস.সি, ১৯৬৬ সালে এইচ.এস.সি, ১৯৭২ সালে এম.বি.বি.এস এবং ১৯৮১ সালের জানুয়ারি মাসে সার্জারি তে এফসিপিএস সম্পন্ন করেন। তিনি ১৯৯৩ থেকে ১৯৯৪ সালে সিঙ্গাপুর জেনারেল হাসপাতাল থেকে প্লাস্টিক সার্জারিতে সিনিয়র ফেলোশিপ প্রশিক্ষণ নেন।
ডা. মো. খলিলুর রহমান ১১ নভেম্বর ১৯৭৩ সালে সহকারী সার্জন হিসেবে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে যোগদান করেন। ১৯৯৬ সালের ২ ফেব্রুয়ারি সহকারী অধ্যাপক, ১৯৯৯ সালে সহযোগী অধ্যাপক, ২০০৫ সালের ১৬ জুন অধ্যাপক হিসেবে পদোন্নতি লাভ করেন। তিনি দীর্ঘ ৮ বছর খুলনা এবং ফেনী হাসপাতালে জুনিয়র এবং সিনিয়র কনসালটেন্ট হিসেবে সেবা দিয়েছেন। তিনি প্রায় ১৮ বছর মেডিকেল কলেজ এবং হাসপাতালে পেশাগত সেবা প্রদান করেন।
রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ১৯৮৯ থেকে ১৯৯১ সাল পর্যন্ত সার্জারিতে সহকারী অধ্যাপক হিসেবে কর্মরত ছিলেন। তিনি ১৯৯১ থেকে ১৯৯৯ সাল পর্যন্ত সার্জারিতে সহযোগী অধ্যাপক হিসেবে কর্মরত ছিলেন। তিনি অধ্যাপক এবং বিভাগীয় প্রধান হিসেবে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ১৯৯৯ থেকে ২০০৬ সাল পর্যন্ত কর্মরত ছিলেন। পরবর্তীতে ঢাকার এনাম মেডিকেল কলেজে ২০০৭ থেকে ২০২১ পর্যন্ত সার্জারিতে অধ্যাপক এবং বিভাগীয় প্রধান হিসেবে কর্মরত ছিলেন।
ডা. মো. খলিলুর রহমান সার্জারির এফসিপিএস এবং এমএস ছাত্রছাত্রীদের গবেষণামূলক প্রবন্ধ রচনায় দিক নির্দেশনা প্রদান করেন। তিনি বিভিন্ন আঞ্চলিক এবং আন্তর্জাতিক সেমিনারে বৈজ্ঞানিক গবেষণা পত্র প্রদর্শন করেন। তিনি বিএমডিসি স্বীকৃত জার্নালে প্রধান লেখক হিসেবে ১৬ টি প্রবন্ধ এবং সহকারী লেখক হিসেবে ৮ টি প্রবন্ধ প্রকাশ করেন। তিনি বাংলাদেশ মেডিকেল এসোসিয়েশন, রাজশাহী এবং টিচার’স এসোসিয়েশন, আরএমসি এর সভাপতি ছিলেন। বাংলাদেশ টিচার’স ওয়েলফেয়ার ট্রাস্ট এর সভাপতি হিসেবে নিযুক্ত আছেন।
রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে সার্জারি বিভাগের বেশ কিছু কাজে এই গুণী চিকিৎসক বিশেষ অবদান রেখেছেন। তিনি রাজশাহী মেডিকেল কলেজের সার্জারি তে সংক্ষিপ্ত রচনামূলক প্রশ্ন ও সাপ্তাহিক সভার প্রবর্তন করেন। একই সাথে এই হাসপাতালে তিনি মিলিন’স প্রোস্টেটেক্টমি এবং ল্যাপারোস্কোপিক সার্জারি শুরু করেন।
মহান মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে অধ্যাপক ডা. মো. খলিলুর রহমান ‘চিকিৎসকের বিচিত্র অভিজ্ঞতা’ নামক একটি ছোটগল্প লিখেছেন। এছাড়াও প্রকাশের পথে রয়েছে সংক্রমিত হৃদয় (উপন্যাস), ভাবনায় শতধিক (প্রবন্ধ), হৃদয়ের যতকথা (কবিতার বই) ও শ্রীলংকা ভ্রমণ (ভ্রমণ কথা) নামক বইগুলো।