অধ্যাপক ডা. খন্দকার মানজারে শামীম

ডা. খন্দকার মানজারে শামীম-এর জন্ম রংপুরে, তিনি বড় হয়েছেন ঢাকায়। গব: ল্যাবরেটরি হাই স্কুল থেকে মেট্রিক এবং ঢাকা কলেজ থেকে আইএসসি পাশ করেন। ১৯৮৩ সালে তিনি ঢাকা মেডিকেল কলেজ থেকে এম.বি.বি.এস শেষ করেন। শিক্ষক পিতার অনুসরণে কিনা জানেন না- শিক্ষকতাকে পেশা হিসেবে বেছে নিয়ে ১৯৮৮ সালে আইপিজিএমআর থেকে এনাটমিতে এমফিল করেন। এরপর পিএইচডি করেন লন্ডন বিশ্ববিদ্যালয় থেকে। বর্তমানে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে এনাটমিতে অধ্যাপনা এবং বেসিক সাইন্স ও প্যারাক্লিনিক্যাল সাইন্স অনুষদের ডীন-এর দায়িত্ব পালন করছেন।

শিক্ষণ এবং গবেষণার ক্ষেত্রে তাঁর প্রিয় বিষয় মেডিকেল এডুকেশন। সেন্টার ফর মেডিকেল এডুকেশন থেকে মাস্টার্স করেছেন। বিএসএমএমইউ-এর বেসিক এবং প্যারাক্লিনিক্যাল বিষয়সমূহের রেসিডেন্টদের জন্য মেডিকেল এডুকেশনের কোর্স চালু করেন অন্যান্য মেডিকেল এডুকেশনিস্টদের সাথে নিয়ে। এই কোর্সটি পরবর্তী পর্যায়ে সকল বিষয়ের রেসিডেন্টদের জন্য বাধ্যতামূলক করা হয়। ডা. খন্দকার মানজারে শামীম ভালোবাসেন রিসার্চ মেথডলজির ক্লাস নিতে। বিসিপিএস-এর রিসার্চ মেথডলজি ও মেডিকেল এডুকেশন এর সাথে বহুদিন ধরে জড়িত তিনি।  ডা. খন্দকার মানজারে শামীম বিসিপিএস-এর সম্মানসূচক ফেলোশিপ পেয়েছেন। তিনি মরদেহ সংরক্ষণের একটি আধুনিক প্রক্রিয়া ‘প্ল্যাস্টিনেশন’ সংক্রান্ত দেশের প্রথম ল্যাব প্রতিষ্ঠা করেন বিএসএমএমইউ-এ। শখের বশে লোগো, প্রচ্ছদ, পোস্টার ও ডাক টিকেট ডিজাইনের পরম্পরায়, ইনস্ট্রাকশনাল ম্যাটেরিয়াল ডিজাইনে সৃষ্টিশীলতার চর্চা এবং সাহিত্য-শিল্প থেকে উপমার ব্যবহার তাঁর প্যাশন। আনন্দ পান এসব নিয়ে গবেষণায়। এনাটমি শিক্ষাকে ফাংশন এবং ক্লিনিক্যাল অ্যাসপেক্টের সঙ্গে ওতপ্রোতভাবে সমন্বয় করার এবং অ্যাসেসমেন্ট পদ্ধতিকে স্বচ্ছ ও নৈর্ব্যক্তিক করার, সর্বোপরি মেডিকেল শিক্ষাকে অর্থপূর্ণ আর আনন্দময় করার, চেষ্টায় রত আছেন শুরু থেকে। মেডিকেল শিক্ষা একটি আন্দোলন – মনে করেন তিনি।

‘চিকিৎসক পদক’টি তিনি উৎসর্গ করতে চান তাঁর সারাজীবনের সত্যিকারের শিক্ষক, শিক্ষার্থী, সহকর্মী ও এনাটমির সকল স্তরের কর্মচারীদের এবং ছাত্র-অন্তপ্রাণ, অতুলনীয় মেধাবী অকালপ্রয়াত এনাটমির শিক্ষক অধ্যাপক মনছুর খলীলের উদ্দেশ্যে।